নিজস্ব প্রতিবেদক,
টেকনানাফ বিজিবি অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা অব্দ. বহনকারী কে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
নুরুল আলম টেকনাফ প্রতিনিধি 01406589733
কক্সবাজারে উপজেলা সীমান্ত শহর টেকনাফ। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১,৬০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে উদ্ধারকৃত ইয়াবার বিষয় নিয়ে উল্লেখি প্রসঙ্গে
সরকারি জিরো টলারেন্স এর ধারাবাহিকতায়, আজ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ অভিযানে ১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সাফল্য বিজিবির
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২২ জুন ২০২৫ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মির্জাজোড়া এলাকা থেকে মায়ানমার হতে বিপুল পরিমাণ মাদক বাংলাদেশে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। অধিনায়ক, ২ বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে তাৎক্ষণিকভাবে মির্জাজোড়া এলাকার বেড়িবাঁধ, নাফ নদী ও তীরবর্তী বেশকিছু কৌশলগত স্থানে দ্রুত বিশেষ টহল মোতায়েন করেন। পাশাপাশি, দমদমিয়া বিওপি থেকে একটি নৌ টহলদল ফ্যান্টম বোটযোগে নাফ নদীর মির্জাজোড়া সংলগ্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান নেয়। অভিযানদল সমুহ আনুমানিক ০৫৩০ ঘটিকায় মায়ানমারের জলসীমায় একটি নৌকাকে র্দীঘক্ষণ যাবৎ ঘোরাঘুরি করতে দেখে এবং উক্ত নৌকা হতে ০২ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাফ নদীতে নেমে সাঁতরে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে মির্জাজোড়া এলাকার দিকে আসতে দেখে।
উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা কেওড়া জঙ্গল সংলগ্ন মাছের প্রজেক্ট এর পাশে লুকিয়ে রেখে দ্রুত প্রতিকূল আবহাওয়ায় প্রবল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে গা ডাকা দেয়। অভিযানরত বিজিবি সদস্যরা দীর্ঘ সময় তল্লাশী শেষে কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া কর্দমাক্ত দুটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে (বিশেষভাবে মোড়কজাত) ১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে জব্দকৃত নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট জমার জন্য প্রযোজ্য সকল প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বলে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান লেঃ কর্ণেল আশিকুর রহমান পিএসসি অধিনায়ক ব্যাটালিয়ন(২বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তাঞ্চলে সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এই দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।