জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি শুধু একটা পতাকা পেয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা পায়নি।
তিনি বলেন, এই স্বাধীনতা আর কাউকে নষ্ট করতে দেয়া হবে না। কারো বাবার সম্পত্তি হবে না বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা অর্জনকারী এদেশের ছাত্র-জনতাসহ সকল ফ্যাসিবাদের বিরোধী শক্তিকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত ১৭ বছরের জঞ্জাল, সম্পূর্ণ মুক্ত না করে জাতি কোনো নির্বাচন চায় না। জঞ্জাল মুক্ত করে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আগেই নির্বাচন দিলে, সেটি হবে একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এজন্য আগে জঞ্জাল মুক্ত করে প্রত্যাশিত সংস্কার করতে হবে। তবেই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে।
এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য সময়ও নষ্ট করা যাবে না, আবার কারো চাপে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনও দেয়া যাবে না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, এডভোকেট এস. এম কামাল উদ্দিন, আব্দুস সালাম, অধ্যক্ষ নুর নবী মানিক, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, শেখ শরিফ উদ্দিন, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন। এছাড়াও শিক্ষাশিবিরে মহানগরীর দক্ষিণের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী ইতিবাচক ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বিরোধিতা, প্রতিহিংসা, ক্ষোভের রাজনীতির কবর রচনা করতে চায়।