কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে সাবেক আলোচিত এমপি আব্দুর রহমান বদি'র ভয় দেখিয়ে সেন্ডিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগে শক্তিশালী এক সেন্ডিকেট।
জানাযায়,বিভিন্ন অজুহাতের বাহানা দিয়ে প্রতি দিন শ্রমিকদের বেতনের থেকে টাকা কর্তন করে হাতিয়া নেই বলে দাবি করেছেন। যার কারণে শ্রমিকেরা দিন-রাত পরিশ্রম করলেও দিন শেষে টাকার ভাগ বসান বন্দের ১০/১৫ একটি মাঝি চক্রের সেন্ডিকেট। এতে করে প্রকৃত শ্রমিকেরা তাদের মজুরি না পেলেও ঠিকই লাভবান হয় মাঝি সেন্ডিকেট চক্রটি। এমনকি উক্ত টাকা থেকে নিয়মিত সাবেক এমপি বদি'র নিকট পৌঁছানো হতো বলে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক মাঝি জানিয়েছেন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে টেকনাফ স্থল বন্দরের সামনে ওই মাঝি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কর্মরত বন্দর শ্রমিকরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
এ সময় প্রতিবাদী শ্রমিকরা বলেন, আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের রাজস্ব উন্নয়ন ও নিজেদের জীবন- জীবিকার তাগিদে কাজ করলেও দিন শেষে বন্দরের মাঝি সেন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা আমাদের পরিশ্রমের টাকা গুলো ভাগ বাটোয়ারা করে হাতিয়া নেই। যদি আমরা এর প্রতিবাদ করি বন্দর থেকে আমাদের বের করার হুমকি দিত মাঝিরা। আমাদের দাবি গুলো না মানলে প্রয়জনে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে
সাধারণ শ্রমিক আব্দুল আমিন বলেন, একটি গাড়ি লোড-আনলোড করতে শ্রমিকদের জন্য দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিলেও সে টাকা শ্রকিকদের কাছে পৌছতে ৩ থেকে ৫ হাজার হয়ে যায়। শুধু তা নয় ওই মাঝি সেন্ডিকেট আমাদেরকে বন্দর থেকে শ্রমিক কার্ড দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা আত্নসাত করেছে। ১৫ বছর পার হলেও এখনো আমাদের শ্রমিকরা এখনো কোন শ্রমিক কার্ড হাতে পায়নি। আমরা এ বৈষম্য থেকে বর্তমান সরকারের কাছে আমরা এর পরিত্রান চায়। আমাদের শ্রমিকদের প্রকৃত অধিকার চাই।
শ্রমিক আব্দু শুক্কুর বলেন, টেকনাফ বন্দরের সৃষ্টি থেকে আমি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। এ বন্দরে আজগর মাঝি সহ ১২ জন মাঝি রয়েছে তাদের কাজ থেকে কোন দিন আমরা সহযোগিতা পায়নি। মাঝিদের শ্রমিকদের টাকার কথা বলতে গেলে সেন্ডিকেট চক্রটি সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ভয় দেখাত। যার কারণে আমরা অসহায় হয়ে শ্রমের টাকা না নিয়ে বাড়ি চলে যেতাম। সারা দিন কষ্ট করে বাড়ি ফেরা পথে রাস্তার মধ্য খানে নিরাপত্তার জন্য যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চেক বা তল্লাতী করতেন। তখন আমাদের বন্দরের শ্রমিক হলে বন্দরের কার্ড দেখাতে বলে আমরা শ্রমিকেরা কার্ড বা পরিচয় পত্র দেখাতে পারতামনা। যার কারণ আমাদের হেনাস্তার স্বীকার হতে হত।
এ বিষয় টেকনাফ স্থল বন্দরের অভিযুক্ত প্রধান মাঝি আজগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মানববন্ধনে অংশনেওয়া শ্রমিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। সামাধান হলে আপনাদের জানানো হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টেকনাফ স্থল বন্দরের পরিচালনা কমিটির আহবায়ক, শেখ এহসান উদ্দীন জানান, টেকনাফ স্থল বন্দরে শ্রমিকদের মানববন্ধনের বিষয়ে অবগত হয়েছি। এবং বন্দরের জিএম কে সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। তবে সে এখনো জানায়নি।