টেকনাফে ঘরে ঢুকে ৭ লাখ টাকা ও ১০ তোলা স্বর্ণালংকার লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ শীলখালীর চৌকিদার পাড়ায় স্হানীয় ছৈয়দ আকবর”র ঘরে ২৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত সোয়া ৯ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,” খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্হল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ”
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ১ মার্চ শনিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরকারী ছৈয়দ আকবর (৭৯) এতে উল্লেখ করেন যে, স্হানীয় এনাম উল্লাহ ও নেজাম’ র নেতৃত্বে ১২/১৩ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ শুক্রবার রাত আনুমানিক সোয়া ৯ টার সময় একদল লোক দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় বসত বাড়ি ভাংচুর করার চেষ্টা করে। এতে বাধ্য দিলে পরিবারের লোকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এরই মধ্যে লুটপাটকারীদের একজনকে মোবাইল ফোনের লাউড স্পিকারে বসত বাড়ি ডাকাতির করার নির্দেশ দেয় অপরপ্রান্ত থেকে। তারপর তারা বাদীর ছেলে ফরিদ হোসন (৪৫) এর স্ত্রী মাহমুদ নুরী (৩৩) কে অস্ত্র ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বসত বাড়ির আলমারী ভেঙ্গে নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণ নিয়ে যায়।
এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি ফেলে যায়। ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের জরুরী সেবা (হটলাইন) ৯৯৯-এ অবহিত করা হলে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে।
এ বিষয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে শনিবার ১ মার্চ দুপুরে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবার প্রধান ছৈয়দ আকবর।
তিনি জানান, ” অভিযুক্তদের কেউ কেউ আমার আত্মীয় স্বজন ও বসত বাড়ির পাশের প্রতিবেশী । অভিযুক্ত এনাম উল্লাহর স্ত্রী ঘটনার কিছুক্ষণ পূর্বে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে আমার পুত্রবধু মাহমুদ নুরী”র মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লুটপাটের এই ঘটনা ঘটে। ”